SRI SRI PARAMANANDA KANYAPITH ( Durganagar, Karimganj, Assam )

 দুর্গানগর  মহিলা আশ্রম

ইংরেজি  ৫|৩|৭৯ তারিখে শ্রী শ্রী ঠাকুরজীর উপস্থিতিতে শ্রীমন্দির ও মহিলা আশ্রমের ভিত্তি স্থাপন করা হয় । দুই জায়গাতেই পৃথক পৃথকভাবে ব্রাহ্মণ দিয়ে শালগ্রাম বিগ্রহ পুজো করানো হয় । উচ্চকণ্ঠে হরিনাম কীর্তনের মধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হল ।  ঠাকুরজি সবাইকে লুট প্রসাদ বিতরণ করেন । মহিলা আশ্রম নির্মাণের কাজ

 ঠাকুরজি দেহে থাকাকালে ওই কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি । 1980 ইংরেজি সালে ঠাকুরজি অপ্রকট হবার পর একবার ভূমিকম্প হয় । ভূমিকম্প হলে পুরনো ভিত্তিপ্রস্তর বাতিল করে দিতে হয় । সেই নিয়ম অনুযায়ী পুরাতন ভিত্তিপ্রস্তর বাতিল করে দিয়ে নতুন করে পুনরায় ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। তারপর পঞ্চায়েত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহিলা আশ্রম নির্মাণকাজের পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শ্রী শচীন্দ্র চন্দ্র হোড় মহাশয়ের উপর এবং এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য একটি মহিলা আশ্রম নির্মাণ কমিটিও গঠন করা হয়েছিল । অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইংরেজী 2017 সালের পয়লা মার্চ দুর্গানগরে মহিলা আশ্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্পন্ন হয় । 

শ্রী শ্রী ঠাকুর দুর্গানগর নির্মাণে কত বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন , সে বিষয়ে তিনি এক শিষ্যকে পত্রে লিখেছেন….. পূর্বাঞ্চলে গোস্বামী প্রভুর আদর্শকে আশ্রয় করে একটি অসাম্প্রদায়িক আশ্রম গড়ে উঠুক — সেখান থেকে সকল সম্প্রদায়ের সাধু-সন্ন্যাসী এবং সংসার বিরক্ত বৃদ্ধগন স্বাধীনভাবে সাধন-ভজনের সুযোগ পাবেন । এছাড়া মহিলাদের স্বতন্ত্র একটি আশ্রম হবে । সেখানে থাকবেন অনাথ মহিলারা। একটি বিদ্যালয় হবে , তাতে আট বছর থেকে ষোলো বছরের মেয়েরা সনাতন ভারতীয় আদসর্শ শিক্ষা লাভ করবে । গ্রামবাসীদের জন্য থাকবে কৃষিবিদ্যা ও গোপালন ব্যবস্থা । আদর্শ কয়েকটি পল্লী ও গঠন করতে চাই । আপনারা সকলে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই ভগবান আপনাদের সহায় হবেন ।

শ্রীমৎ স্বামী পরমানন্দ সরস্বতী মহারাজের কথায়…..” পূর্বাঞ্চলে কোন মন্দির বা আশ্রম নেই। এই অভাবের কথা গোস্বামী প্রভু বিশেষভাবে অনুভব করতেন । তাঁর অভিপ্রায় অনুসারে দুর্গানগর একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করা আমাদের উদ্দেশ্য । কাজটি বড়ই মহৎ আপনাদের সহযোগিতা ভিন্ন এই কাজে সফল হওয়া সম্ভব নয়।

আমরা দুর্গনগরে বাগানটি কোন ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য খরিদ করিনি । একটি আদর্শ আশ্রম, মন্দির– সকল সম্প্রদায়ের সাধু ভক্তরা যাতে নিশ্চিন্ত মনে থেকে সাধন-ভজন করতে পারেন , এই রূপ কয়েকটি কুটির, ছাত্রাবাস, সুপরিকল্পিত পল্লী ইত্যাদি স্থাপনের জন্য এই বাগানটি আমরা রেখেছি । দেশে ন্যায় ধর্ম নেই। আপনাদের ত্যাগ ও তপস্যায় আশ্রমটি পবিত্র হোক। প্রভুর আদর্শের হোক পুর্ণপ্রতিষ্ঠা ।